মোরশেদ আলম,চাঁদপুর:পবিত্র ঈদ উল আযহা শেষে সপ্তম দিনেও চাঁদপুর লঞ্চঘাটে হাজার হাজার যাত্রীর উপচে পড়া ভীড়। যাত্রীদের দাঁড়ানোর মত জায়গাও ছিলো না। পন্টুন জায়গা না পেয়ে অনেকে জেটি অর্থাৎ গ্যাংওয়ের মধ্যে শত শত যাত্রী অবস্থান নেয়। ভোর থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ১০টি লঞ্চ চাঁদপুর ঘাট থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেলেও ঠাঁই হয়নি অপেক্ষমান বাকী যাত্রীদের। অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে ছাড়লে জরিমানা করা হবে এমন ভয়ও রয়েছে লঞ্চ কর্তৃপক্ষের।
শুক্রবার (৭ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চাঁদপুর লঞ্চঘাটে হাজার হাজার যাত্রীর অপেক্ষমান এ দৃশ্য চোখে পড়ে। শিশু, কিশোর, যুবক, যুবতি ও বয়স্ক সব বসয়ী লোকজন লঞ্চের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে রয়েছে। যাত্রীদের বসাত দুরের কথা দাঁড়িয়ে থাকাটাই দায়। কারণ একযাত্রীর সাথে রয়েছে অনেক ব্যাগ ও বস্তা। করোনার কারণে দীর্ঘদিন বাড়ীতে থেকে কর্মস্থলে যাওয়ার যুদ্ধ অনেকটা।
দুপুর ১২টায় ঘাটে আসে এমভি আব জম জম। মুহুর্তের মধ্যেই লঞ্চটি যাত্রীদে বরপুর হয়ে যায়। তারপরেও ঘাটে অপেক্ষমান আরো কয়েক হাজার যাত্রী। আব জম জম ১টায় ছাড়ার কথা থাকলেও যাত্রী চাহিদা পুরন হওয়ায় আগেই ঘাট ত্যাগ করে। লঞ্চ মালিক প্রতিনিধিদের সাথে আলাপ করে জানাগেছে সকাল থেকে আব জম জম পর্যন্ত ১০টি লঞ্চ ঘাট ত্যাগ করে। তারপরেও যাত্রীর কোন কমতি নেই। জোয়ারের মত যাত্রী প্রবেশ করছে লঞ্চঘাটে।
যাত্রীদের মধ্যে চাঁদপুর ও লক্ষ্মীপুরের আসছে সিএনজি চালিত অটোরিকশা, কেউ বাসে এবং চরাঞ্চলের যাত্রীদের আসতে দেখাগেছে ট্রলার করে।
ফরিদগঞ্জ থেকে আসা অপেক্ষমান যাত্রী মিশু। কথা হয় তার সাথে। তিনি জানান, ঈদের বেশ কয়েকদিন আগেই ছুটিতে বাড়ীতে আসেন। করোনার কারণে আর যাওয়া হয়নি। কাজে যোগদানের জন্য রওয়ানা হয়েছেন। অনেক সময় দাঁড়িয়ে থেকেও লঞ্চের দেখা পাচ্ছেন না।
স্ত্রী নিয়ে অপেক্ষমান আরেক যাত্রী জাহাঙ্গীর। তিনি জানান, ঘাটে এসে লঞ্চ পেলেও জায়গা না পেয়ে প্রায় দুই ঘন্টা অপেক্ষমান। আব এ জম জমও ঠাঁই মিলবে না তাদের। সাথে আরো কয়েকজন আছেন একসাথেই যাবেন, তাদের জন্য অপেক্ষা করছেন।
সকাল থেকে যাত্রীর চাপে ঘাটের অবস্থাও অনেকটা নাজুক। হিমশিম খেতে দেখাগেছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর লোকদেরকে। কারণ ঘাটে সিএনজি ও অটোরিকশা রাখার মত জায়গা নেই।
এদিকে, ঢাকাগামী লঞ্চের যাত্রী বেশী থাকলেও নারায়নগঞ্জগামী লঞ্চের যাত্রী খুবই কম। তবে অন্য সময়ের তুলনায় একটু বেশী।
Leave a Reply