মোরশেদ আলম, চাঁদপুর: রেড জোন তথা কঠোর লকডাউনের আওতাভুক্তির জন্য চাঁদপুর জেলার ৬টি পৌরসভা ও ১টি ইউনিয়নের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে এই প্রস্তাবনা ইতোমধ্যে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
প্রস্তাবটি এখন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় তথা সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছে।
চাঁদপুরের সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে বৃহস্পতিবার রাতে এসব তথ্য জানা গেছে।
সূত্র আরো জানায়, মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ও নির্দেশনার আলোকে প্রস্তাাবিত ৬টি পৌরসভা ও ১টি ইউনিয়নে একযোগে অথবা পর্যায়ক্রমে রেড জোন তথা কঠোর লকডাউন কার্যকর হতে পারে।
রেড জোনের জন্য প্রস্তাবিত পৌরসভাগুলোর মধ্যে রয়েছে চাঁদপুর পৌরসভা, হাজীগঞ্জ পৌরসভা, মতলব পৌরসভা, ফরিদগঞ্জ পৌরসভা, শাহরাস্তি পৌরসভা ও কচুয়া পৌরসভা। প্রস্তাবিত একমাত্র ইউনিয়নটি হলো হাইমচর উপজেলার আলগী দক্ষিণ ইউনিয়ন।
সূত্র জানায়, চাঁদপুর জেলার মধ্যে সর্বপ্রথম মতলব উত্তরে করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হলেও এখন জেলার মধ্যে সবচেয়ে কম আক্রান্তরোগী সেখানে। এর বাইরে জেলার প্রতিটি উপজেলা সদরে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা সর্বাধিক।
এসব বিবেচনায় ৭টি উপজেলা সদরে সর্বাধিক করোনা রোগী থাকায় এবং সরকারের রেড জোনের জন্য নির্ধারিত সংখ্যক রোগী থাকায় এসব এলাকা রেড জোনের আওতায় আনার প্রস্তাব করা হয়েছে। একমাত্র হাইমচরে পৌরসভা না থাকায় উপজেলা সদরের ইউনিয়নটি রেড জোনে রাখার প্রস্তাব দিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
চাঁদপুরের সিভিল সার্জন ডা. সাখাওয়াত উল্লাহ জানান, জেলার মধ্যে চাঁদপুর শহর ও হাজীগঞ্জ শহরে করোনার সংক্রমণ এখন সর্বাধিক। এছাড়া মতলব উত্তর বাদে অন্যান্য উপজেলা সদরে করোনার সংক্রমণ রেড জোনে পড়ার মতো অবস্থানে যেয়ে পৌঁছেছে। সিভিল সার্জন আশা করেন, আগামী সপ্তাহে চাঁদপুরে রেড জোনের নির্দেশনা আসতে পারে।
স্বাস্থ্য বিভাগের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, জেলায় এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তরোগীর সংখ্যা ৫১১জন।
এর মধ্যে সদরে ১৮২জন, শাহরাস্তিতে ৬৩ জন, হাজীগঞ্জে ৬২ জন, ফরিদগঞ্জে ৬০ জন, মতলব দক্ষিণে ৫৬ জন, হাইমচরে ৩৩ জন, কচুয়ায় ২৮ জন ও মতলব উত্তরে ২৭ জন।
জেলায় করোনা শনাক্তকৃতদের মধ্যে মৃতের সংখ্যা ৪৪জন। এর মধ্যে হাজীগঞ্জে ১৩ জন, সদরে ১২ জন, ফরিদগঞ্জে ৬ জন, কচুয়ায় ৪ জন, মতলব উত্তরে ৪ জন, শাহরাস্তিতে ৩ জন ও মতলব দক্ষিণে ২জন।
Designed by: Sylhet Host BD
Leave a Reply