হবিগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ লাখাইয়ের ধর্মপুর গ্রামে মায়ের সাথে অভিমান করে ইদুরের ঔষধ (বুলেট) খেয়ে আত্মহত্যা করেছে এক ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী। তবে এ ঘটনাটি অন্য খাতে নেয়ার পায়তারা করছে মেয়েটির পরিবার। সূত্র জানায়, ধর্মপুর গ্রামের রুহুল আলমের কন্যা কালাউক উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী ফাহমিদা আক্তার আখি তৃচ্ছ বিষয় নিয়ে তার মা স্বপ্না আক্তারের সাথে অভিমান করে গত মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে ইদুরের ঔষধ সেবন করে।
এক পর্যায়ে সে চটপট করতে থাকে এক পর্যায়ে বিষয়টি অবগত হয়ে তার পরিবারের লোকজন প্রথমে তাকে লাখাই উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্মরত চিকিৎসক তাকে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে রেফার করেন। পরবর্তীতে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতাল থেকে তাকে সিলেট এমএজি ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আশংকাজনক অবস্থায় তাকে রেফার করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই দিন রাতে ফাহমিদা আক্তার আখি মারা যায়।
বুধবার সিলেটে আখির লাশের ময়না তদন্ত শেষে বাড়িতে এনে লাশের দাফন সম্পন্ন করা হয়। এ দিকে ঘটনার পর থেকে নিহতের আখির পরিবার তার আপন চাচাত ভাইকে এ ঘটনার জন্য দোষারুপ করে। পরবর্তীতে ওই রাতে নিহত আখির পরিবারের লোকজন তার চাচা মোঃ শাহ আলম মাস্টারের বাড়িঘর ভাংচুর লুটপাট করার চেষ্টা করে।
এ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে লাখাই থানার এসআই আবুল বাশার ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এসআই আবুল বাশার জানান, মেয়েটি নিহত হওয়ার দিন রাতে তাদের বাড়িতে সংঘর্ষের হওয়ার খবর পেয়ে যাই। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি সেটা তাদের পারিবারিক বিষয়। এলাকার মুরুব্বীয়ান সংঘর্ষ হবে না বলে আমাকে আশ^স্থ করলে আমি ঘটনাস্থল থেকে চলে আসি।
তবে শুনেছি, আখি নামে মেয়েটি আত্মহত্যা করেছে। স্থানীয় এলাকাবাসীরা জানান, শাহ আলম মাস্টার ও তার ছোট ভাই রুহুল আমিনের মধ্যে জায়গা জমি নিয়ে প্রায় ১৫ বছর ধরে বিরোধ চলে আসছে। এ বিরোধকে কেন্দ্র করে আখির আত্মাহত্যার ঘটনায় শাহ আলম মাস্টার গংদের পাষানোর পায়তারা করছে তার পরিবার। এ ব্যাপারে লাখাই থানার অফিসার ইনচার্জ সাইদুল ইসলাম জানান, ধর্মপুর গ্রামের আখি নামে একটি মেয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে শুনেছি। তবে এ ব্যাপারে আমার কাছে কোন লিখিত অভিযোগ আসেনি।
Designed by: Sylhet Host BD
Leave a Reply