হবিগঞ্জ-২ (বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ) আসনের সাংসদ আলহাজ্ব এডভোকেট মোঃ আব্দুল মজিদ খান বলেছেন, রক্তস্নানের মধ্য দিয়ে ভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠার দিন। সব বাধা অতিক্রম করে বাংলাকে পাথেয় করে এগিয়ে যাওয়ার শপথের দিন। বাংলা ভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠার জন্য ১৯৫২ সালের এদিন সালাম, বরকত, রফিকসহ অনেকে আত্মাহুতি দিয়েছিলেন। এজন্যই দিনটি একই সঙ্গে গৌরবের ও শোকের। জাতি আজ শ্রদ্ধাভরে সেইসব শহীদদের স্মরণ করছে।
দিবসটি শুধু বাঙালির নয়, পৃথিবীর সব বাংলা ভাষাভাষী মানুষের। এ চেতনাকে ধারণ করে পৃথিবীর নানা ভাষাভাষী মানুষের সঙ্গে নিবিড় যোগসূত্র স্থাপন করতে হবে। মহান একুশের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও সুখী-সমৃদ্ধ স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে হবে।
২১ ফেব্রুয়ারি রোজ মঙ্গলবার সকাল ১০ ঘটিকায় হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলা সদরের স্থানীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। তিনি আরো বলেছেন একুশের চেতনা ও মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধকে ধারণ করে গত ১৪ বছরে দেশের সামষ্টিক অর্থনীতি, কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ, তথ্যপ্রযুক্তি, অবকাঠামো, বিদ্যুৎতায়ন, গ্রামীণ অর্থনীতির উন্নয়ন, কূটনৈতিক সাফল্য ও সহযোগিতা বৃদ্ধিসহ প্রতিটি সেক্টরে আমরা ব্যাপক উন্নয়ন করেছি। বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের ‘রোল মডেল’।
বানিয়াচং উপজেলা নির্বাহী অফিসার পদ্মসন সিংহ’র সভাপতিত্বে ও মেধা বিকাশ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ভানু চন্দ্র চন্দ্রের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখবেন বানিয়াচং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আবুল কাশেম চৌধুরী, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হাসিনা আক্তার, বানিয়াচং থানার অফিসার ইনচার্জ অজয় চন্দ্র দেব, বানিয়াচং উপজেলা প্রেসক্লাব সভাপতি এস এম খোকন, বানিয়াচং সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল আবদাল হোসাইন খান, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহজাহান মিয়া,সাবেক ছাত্রলীগ নেতা রিপন চৌধুরী প্রমুখ।
এছাড়া বানিয়াচং উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কাওছার শোকোরানা, বানিয়াচং আইডিয়েল কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জসিম উদ্দিন, ইউএনও অফিসের উপ-প্রশাসনিক কর্মকর্তা সুব্রত দেব, উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি মাহবুবুর রহমান খান মাসুদ, বিভিন্ন কর্মকর্তা, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এরপূর্বে ২ ফেব্রুয়ারি প্রথম প্রহরে স্থানীয় শহীদ মিনারে রাত ১২টা ১মিনিটে পুস্পস্তবক অর্পন, সূর্যোদয়ের সাথে সাথে জাতীয় প্রতাকা অর্ধনির্মিত রাখা, সকাল সাড়ে ৮ ঘটিকায় প্রভাতফেরি, সকাল ৯ঘটিকায় কবিতা পাঠের আসর ও চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, সকাল ১০ ঘটিকায় আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরনী ও দুপুরে মসজিদে মিলাদ ও মন্দিরে প্রার্থনার মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।
Designed by: Sylhet Host BD
Leave a Reply