চাঁদপুর প্রতিনিধি: চাঁদপুরে করোনায় আক্রান্ত ও সন্দেহভাজন রোগীর বাড়তি চাপ সামাল দিতে সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ড স্থানান্তর করা হয়েছে। পৃথক ভবন থেকে হাসপাতালের মূল ভবনের দ্বিতীয়তলার পুরুষ ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হয়েছে করোনা বিষয়ক আইসোলেশন ওয়ার্ড। পূর্বের আইসোলেশন ওয়ার্ডের ১২ বেডের স্থলে বর্তমানের আইসোলেশন ওয়ার্ডটি হচ্ছে র্অর্ধশতাধিক বেডের।
জানা যায়, গত ক’দিন ধরে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের নির্ধারিত আইসোলেশন ওয়ার্ড রোগীতে পরিপূর্ণ হয়ে যাওয়ায় বর্তমানে হাসপাতালের সাধারণ রোগী ভর্তি থাকা পুরুষ ওয়ার্ডকে আইসোলেশন ওয়ার্ড হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে। আর এতদিন ব্যবহৃত আইসোলেশন ওয়ার্ডটি আপাতত খালি রাখা হবে।
খবর নিয়ে জানা যায়, হাসপাতালের আলাদা একটি ভবনে এতদিন যে আইসোলেশ ওয়ার্ড ছিল সেখানে সর্বমোট ১২টি বেড রয়েছে। বেডগুলো দূরত্ব বজায় রাখার কারণে তেমন বেশি বেড স্থাপন করা যায়নি। অন্যদিকে, দিন দিন রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকায় হাসপাতালের ২য় তলার পুরুষ ওয়ার্ডকেও আইসোলেশন ওয়ার্ড হিসেবে নির্ধারণ করা হয়। বৃহস্পতিবার আইসোলেশন ওয়ার্ডটি মূল ভবনে স্থানান্তর করা হয়েছে। তবে এখানে এখনো বেড স্থাপনের কাজ চলছে।
পূর্বের আইসোলেশন ওয়ার্ডে গত ৩ জুন থেকে সর্বমোট ১১জন রোগী ভর্তি রয়েছে। এর মধ্যে ৩ জন রোগীর করোনা পজেটিভ বলে জানা গেছে। আর বাকীদের রিপোর্ট অপেক্ষমান। গত ২৪ ঘন্টায় রিলিজ হয়েছে ৬ জন রোগী। আর ২৪ ঘন্টায় নতুন ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৫জন।
এছাড়া হাসপাতালের তৃতীয়তলার শিশু ওয়ার্ডকে দু’টি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। শিশু ওয়ার্ডের পশ্চিম পাশে ভর্তি রাখা হচ্ছে পুরুষ রোগীদের আর পূর্ব পাশে ইউনিটকে শিশু বিভাগ হিসেবেই ব্যবহার করা হচ্ছে।
চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আসিবুল আহসান চৌধুরী জানান, এখন দিন দিনই করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। আবার অধিকাংশ রোগীকে সন্দেজনকভাবে আইসোলেশনে ভর্তি রাখা হচ্ছে। এ কারণে রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় হাসপাতালের দ্বিতীয়তলার পুরুষ ওয়ার্ডকে আমরা আইসোলেশ ওয়ার্ড হিসেবে নির্ধারণ করেছি।
অন্যদিকে, হাসপাতালের আরএমও ও করোনা বিষয়ক ফোকালপার্সন ডা. সুজাউদ্দৌলা রুবেল বৃহস্পতিবার রাতে জানান, রোগীর চাপ সামাল দেওয়া ও চিকিৎসা ব্যবস্থা সহজ করার লক্ষ্যে আইসোলেশন ওয়ার্ড স্থানান্তর করা হয়েছে হাসপাতালের মূল ভবনে। নতুন ওয়ার্ডের বিশেষত্ব হচ্ছে এখানে আক্রান্ত ও সন্দেহভাজন রোগীদের পৃথক রাখা হবে। পূর্বের ১২টির স্থলে এখানে বেড হবে অর্ধশতাধিক। এছাড়া প্রতিটি বেডে যাওয়া ও আসার রাস্তা ওয়ানওয়ে। অর্থ্যাৎ একজন রোগীর কাছে যাওয়া ও আসার রাস্তা একটাই। এতে সংক্রমণ রোধ করা আরো সহজতর হবে।
Designed by: Sylhet Host BD
Leave a Reply