বাংলাদেশের আকাশে বুধবার পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। ফলে এবার পুরো ৩০ রোজা হচ্ছে। আর শুক্রবার পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে।
বুধবার (১২ মে) সন্ধ্যায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বায়তুল মোকাররম সভাকক্ষে চাঁদ দেখা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে ঈদুল ফিতরের এ তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভাপতি ও ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান।
বায়তুল মোকাররমে ৫ জামাত
করোনা মোকাবিলায় ও সংক্রমণ রোধে সরকারের নির্দেশনায় এবার খোলা মাঠে ঈদের নামাজের জামাত হচ্ছে না। ঈদ জামাত হবে মসজিদের ভেতরে শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে।
এবার হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহে ঈদের জামাত হচ্ছে না। হচ্ছে না শত বছরের ঐতিহ্য ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ময়দানের ঈদ জামাতও। তবে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে প্রতি বছরের মতো ঈদের ৫টি জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানা যায়, এবারের ঈদ জামাত আয়োজনে সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিকতা নেই।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবু নাছের বাসসকে বলেন, এবারের ঈদে আমাদের পক্ষ থেকে খোলা মাঠে ঈদ জামাত আয়োজনের কোনো উদ্যোগ থাকছে না। তবে সরকারের নির্দেশনা মেনে মসজিদগুলোতে ঈদ জামাত আয়োজনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) জনসংযোগ কর্মকর্তা আবুল বাসার মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক এ বছর ডিএনসিসি আওতাধীন এলাকায় খোলা মাঠে কোনো ধরনের ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে না।
ঈদ জামাত প্রসঙ্গে ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, করোনাভাইরাসের গণসংক্রমণ রোধে কোনো অবস্থাতেই বাইরে ঈদ জামাত আয়োজন করা যাবে না। এরজন্য সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলরদের কঠোর নির্দেশনা দেয়া আছে। আমি নগরবাসীকে অগ্রিম ঈদ শুভেচ্ছা জানাই। আর এটাও অনুরোধ করছি, পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে এবারের ঈদটা এভাবে উদযাপন করা হোক। আমরা সবাই সুস্থ থাকলে আবার আগের মতো আয়োজন করা যাবে।
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে এবারও পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে এবার জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের কোনো জামাত অনুষ্ঠিত হবে না।
ইসলামিক ফাউেন্ডশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে প্রতি বছরের মতো এবারও বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। এ জামাতের ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মিজানুর রহমান। মুকাব্বির থাকবেন মুয়াজ্জিন হাফেজ কারী কাজী মাসুদুর রহমান।
দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়। এ জামাতের ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মুহিববুল্লাহিল বাকী নদভী। মুকাব্বির থাকবেন মুয়াজ্জিন হাফেজ ক্বারী হাবিবুর রহমান মেশকাত।
তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। এই জামাতের ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা এহসানুল হক। মুকাব্বির থাকবেন মুয়াজ্জিন মাওলানা ইসহাক।
সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে চতুর্থ জামাত। এ জামাতে ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা মহিউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন মুয়াজ্জিন মো. আতাউর রহমান।
পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত সকাল পৌনে ১১টায় অনুষ্ঠিত হবে। এ জামাতের ইমামিত করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুহাদ্দিস হাফেজ মাওলানা ওয়ালিয়ুর রহমান খান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম হাফেজ মো. শহীদুল্লাহ।
এই ৫টি জামাতে কোনও ইমাম অনুপস্থিত থাকলে বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফতি মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ।
বতর্মান করোনা পরিস্থিতিতে পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায়ে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে ২৬ এপ্রিল জারীকৃত বিজ্ঞপ্তি অনুসরণ করে যথাযথ সুরক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে মসজিদের ইমাম-খতিব, মসজিদ ব্যবস্থাপনা কমিটি, ধর্মপ্রাণ মুসল্লী ও সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।
Designed by: Sylhet Host BD
Leave a Reply