
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের কনিকাড়া গ্রামে রাধিকা সড়ক নির্মান নিয়ে এক মতবিনিময় সভায় এবাদুল করিম বুলবুল এমপি’র বক্তব্যে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
নবীনগর টু আখাউড়া রাধিকা সড়ক নির্মানের প্রক্রিয়া ৩ বছর পেরিয়ে গেলেও বসতবাড়ি ও জমির মালিকদের জমির মূল্য পরিশোধ না করে রাস্তা নির্মান করতে গেলে ভুক্তভোগীরা বাধা দিয়ে উক্ত মত বিনিময় সভার আয়োজন করে।
বক্তব্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া -৫ ( নবীনগর) এর সাংসদ এবাদুল করিম বুলবুল বলেন, মানুষ মসজিদে সদকা করে সওয়াবের জন্য। আপনারা রাস্তার নামে সদকা করেন রাস্তার নামে। সওয়াব পাইবেন। আপাতত আপনাদের থাকার জন্য ঘর ভাড়া দেয়া হবে, আপনাদের যাদের জমি পড়ছে তারা জায়গা ছেড়ে দেন। আপনারা ভাড়া বাসায় গেলে আপনাদের ভাড়া দিয়ে দেওয়া হবে। পরে জমির মূল্য পরিশোধ করা করা হবে।
এমপির বক্তব্যে প্রদান কালে উত্তেজিত হয়ে বাঁধা প্রদান করেন কামরুজ্জামান, ইয়ার হোসেন, জাকির হোসেন, এরশাদ মিয়াসহ ভুক্তভোগী বসতবাড়ি ও জমির মালিকগন।
কনিকাড়া গ্রামের ইয়ার হোসেন বলেন, উনি ( এমপি) আমাদেরকে বলতেছেন আমরা ভাড়া বাসায় চলে যেতে। আমরা গরু-ছাগল নিয়া ভাড়া বাসায় উঠমু ক্যামনে!
জল্লা গ্রামের জেসমিন আক্তার বলেন, টেহা না দিয়া আমরারে কইতাছে উট্টা যাইতাম গা। আমরা দরহার লাগলে রক্ত দিমু তবু আমরা জাগা দিতামনা।
নবীনগরে টক অব দ্যা টাউনে পরিনত হওয়া বক্তব্যটি নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে আলোচনা-সমালোচনা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মনির, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জাকির হোসেন সাদেক, প্রকৌশলী প্রনব কুমার, ইউএনও একরামুল সিদ্দিক, এসিল্যান্ড ইকবাল হাসান সহ স্থানীয় ও নবীনগরের কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীরা।
Leave a Reply