সাবেক আইনমন্ত্রী, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সুপ্রিম কোর্ট বারের নব নির্বাচিত সভাপতি এডভোকেট আব্দুল মতিন খসরুর মৃত্যুতে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও হবিগঞ্জ-২ আসনের সাংসদ আলহাজ্ব এডভোকেট আব্দুল মজিদ খান গভীর শোক ও শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন।
১৪ এপ্রিল বুধবার বিকেল ৪টা ৫০ মিনিটে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন।
তার মৃত্যুর বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন তার ব্যক্তিগত সহকারী অ্যাডভোকেট মো: মহিন।
মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয় আব্দুল মতিন খসরুকে। এর আগে গত ৩১ মার্চ শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলে কেবিনে আনা হয়েছিল। এরপর আবার অবস্থার অবনতি হলে গত ৬ এপ্রিল তাকে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়।
গত ১৫ মার্চ আব্দুল মতিন খসরু সংসদ সচিবালয়ে করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা দেন। ১৬ মার্চ সকালে পাওয়া রিপোর্টে তার করোনা পজিটিভ আসে। ওইদিনই তাকে সিএমএইচে ভর্তি করা হয়। ওইদিন তিনি নিজেই করোনা আক্রান্ত হওয়ার কথা জানান। আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে তিনি সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
আব্দুল মতিন খসরু ১৯৫০ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের কুমিল্লা ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার মিরপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম মো: আবদুল মালেক এবং মা জাহানারা বেগম। তারা চার ভাই, এক বোন। আব্দুল মতিন খসরু ব্যক্তিজীবনে এক ছেলে ও এক মেয়ের জনক।
আব্দুল মতিন খসরু ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৯৬-২০০১ সালে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের আইনমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এ সময় ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিল করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্মম হত্যাকাণ্ডের বিচারের ব্যবস্থা করা হয়।
Designed by: Sylhet Host BD
Leave a Reply