বরগুনা পৌরসভা কর্র্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে প্রবাহমান খাল ভড়াট করে রাস্তা নির্মাণের অভিযোগ পাওয়াগেছে। পৌরশহরের অদূরে বরগুনা সদর ইউনিয়নের শাহ কেরামতিয়া দাখিল মাদ্রাসার দক্ষিণ পাশে প্রবাহমান পাজরাভাঙ্গা খালের কিছু অংশ অধিগ্রহণ করে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ বায়োগ্যাস ও জৈবসার কারখানা (ময়লা রিসাইক্লিন স্পট) স্থাপন করেন। ফলে ওই এলাকার কৃষি জমি পানি সংকটের কারণে অনাবাদি থাকার আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।
এ ব্যাপারে গত ৮ মার্চ স্থানীয় ক্রোক গ্রামের বাসিন্দা জায়েদা বেগম ও রুহুল আমিন বরগুনা জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, পাজরাভাঙ্গা খালটি বরগুনা সদর ইউনিয়নের হেউলিবুনিয়া খাল থেকে উৎপত্তি হয়ে চালিতাবুনিয়া খালের সাথে মিলিত হয়েছে।
কৃষক মনু মৃধা বলেন, কৃষক মরুক তাতে বড় লোকের কি? তারা তো বেশি দামে জমি বিক্রি করে দেবে। খাল দখল করে রাস্তা নির্মান করায় আমার জমির ফসল নষ্ট হচ্ছে। আমরা পানির অভাবে বীজতলা তৈরি করতে পারছিনা। আমরা প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাই।
কৃষক শানু খাঁ বলেন, সাবেক পৌরমেয়র মো. শাহাদাত হোসেন অপরিকল্পিতভাবে এখানে বায়োগ্যাস ও জৈবসার কারখানা (ময়লা রিসাইক্লিন স্পট) স্থাপন করেছেন। আমরা বাঁধা দিলে খালের মত বড় ড্রেন করে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু এখন দেখি এর বিপরীত। ড্রেন না করে উল্টো খাল বন্ধ করে রাস্তা নির্মাণ করা হচ্ছে।
তিনি আর বলেন, খাল না থাকলে ফসল হবে না। মারা পড়বে কয়েক হাজার কৃষক। নষ্ট হবে কৃষি জমি, কাজ হারাবে কয়েক হাজার কৃষক-কৃষানী।
স্থানীয় শফিকুল ইসলাম বলেন, খালের উপর দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করায় বীজ বপন করতে পারে নাই এলাকার কৃষকরা। এ এলাকার কৃষি জমি আজ মরুভূমিতে পরিণত হচ্ছে। পানি উঠাতে না পারায় অনেক বীজতলা নষ্ট হয়ে গেছে।
অভিযোগকারী রুহল আমীন বলেন, সাবেক পৌর মেয়র শাহাদাত হোসেন অপরিকল্পিত ভাবে খাল দখল করে বায়োগ্যাস ও জৈবসার কারখানা (ময়লা রিসাইক্লিন স্পট) স্থাপন করেছেন। এখানে বর্জ্যসহ পয়ঃনিস্কাশনের কোন ব্যবস্থা রাখা হয়নি। প্রথমে বাঁধা দেয়া হলেও মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে খাল দখল করে রাস্তা নির্মান করা হচ্ছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে কৃষিজমি ও কৃষক।
অভিযোগের ব্যাপারে সাবেক মেয়র মো. শাহাদাত হোসেনের সাথে মোবাইল ফোনে (০১৭৩২৭৭৪৭৩৭) যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি কলটি রিসিভ করেননি।
এ ব্যাপারে সদ্য নির্বাচিত বরগুনা পৌরসভার মেয়র এ্যাড. মো. কামরুল আহসান মহারাজ বলেন, অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব। বরগুনার জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে (রাজস্ব) বিষয়টি দেখার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
Designed by: Sylhet Host BD
Leave a Reply