1. sm.khakon0@gmail.com : udaytv :
শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:১৫ পূর্বাহ্ন

ব্ল্যাক হোল সন্ধানী তিন পদার্থবিদের নোবেল জয়

উদয় টিভি ডেস্ক রিপোর্ট
  • রবিবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২১
  • ৮৭১ বার পড়া হয়েছে

রয়্যাল সুইডিশ অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সেস মঙ্গলবার এই পুরস্কারের জন্য যুক্তরাজ্যের স্যার রজার পেনরোজ এবং জার্মানির রাইনার্ড গেনসেল ও যুক্তরাষ্ট্রের আন্দ্রেয়া গেজের নাম ঘোষণা করে।

ব্ল্যাক হোল বা কৃষ্ণগহ্বর হল মহাকাশের এমন এলাকা যেখানে মাধ্যাকর্ষণ শক্তি এতটাই প্রচণ্ড যে সেখান থেকে কোনো কণা, এমনকি আলোর মত বিদ্যুৎ-চৌম্বকীয় তরঙ্গও বেরিয়ে আসতে পারে না।

বিরাট আকৃতির কোনো নক্ষত্র যখন তার আয়ুষ্কাল শেষে চুপসে যায়, এর মাধ্যাকর্ষণ শক্তি প্রচণ্ড মাত্রা পায়, বিপুল পরিমাণ ভর সন্নিবেশিত হয় তুলনামূলকভাবে ক্ষুদ্র আয়তনের ভেতরে, তখনই তা পরিণত হয় কৃষ্ণগহ্বরে।

আলো বেরিয়ে আসতে পারে না বলে ব্ল্যাক হোল দেখাও যায় না। চারপাশে যে জায়গা পর্যন্ত ওই মাধ্যাকর্ষণ শক্তি কার্যকর থাকে, তাকে বলা হয় ইভেন্ট হরাইজন। এর বাইরের কোনো পর্যবেক্ষকের কাছে মনে হতে পারে, ইভেন্ট হরাইজনে গিয়ে সময় বুঝি স্থির হয়ে আছে।

স্যার রজার পেনরোজ

স্যার রজার পেনরোজ
জার্মান পদার্থবিদ আলবার্ট আইনস্টাইন ১৯১৫ সালে তার সাধারণ আপেক্ষিকতাবাদ তত্ত্বে মহাকর্ষীয় তরঙ্গের ধারণা দেন, যা স্থান-কালকে বাঁকিয়ে দেয়। তার ওই তত্ত্বেই ব্ল্যাক হোলের অস্তিত্বের ধারণা আরো জোর পায়, যদিও আইনস্টাইন নিজেও এক সময় ওই তত্ত্ব ‘ভুল’ বলে ভাবতে শুরু করেন। তার মনে হয়েছিল, বাস্তবে ব্ল্যাক হোলের মত কিছু থাকা সম্ভব না।

আইনস্টাইনের মৃত্যুর ১০ বছর পর ১৯৬৫ সালে তার সেই সংশয় দূর করেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গাণিতিক পদার্থবিদ রজার পেনরোজ।

গাণিতিকভাবে তিনি দেখিয়ে দেন ব্ল্যাক হোল সত্যিই থাকা সম্ভব। আর কীভাবে তা তৈরি হয়, তাও তিনি গাণিতিক সমাধানে দেখিয়ে দেন আইনস্টাইনের সেই সাধারণ আপেক্ষিকতাবাদের পথ ধরেই।

আইনস্টাইনের তত্ত্বের পর পেনরোজের ওই গাণিতিক সমাধানকেই সাধারণ আপেক্ষিকতাবাদের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় কাজ বলে বিবেচনা করা হয়।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
Uday tv @ ২০২০,সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত।
error: Content is protected !!

Designed by: Sylhet Host BD