কোভিড ১৯ ভ্যাকসিন নিতে সেলিসবারি ‘‘বিএএমই’’ কমিউনিটিকে উদ্ভোদ্ধ করণ ও ক্ষতিগ্রস্থদের সহায়তায় বিশেষ ভূমিকা পালন করায় এই বারার প্রথম এবং একমাত্র বাঙ্গালী কাউন্সিলার আতিকুল হকের ভূমিকার প্রশংসা করেছে স্থানীয় কাউন্সিল এনএইচএস এবং সেলিসবারি জার্নাল।
ব্রিটেনে কোভিড মহামারি শুরু হলে উইলশায়ার এলাকায় বসবাসরত বাংলাদেশী সহ এশিয়ান কমিউনিটির মানুষ স্থানীয় কাউন্সিল কর্তৃক পর্য্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা দেয়া সত্বেও ভ্যাকসিন নিতে অনীহা প্রকাশ করেন। অনেকেই অজ্ঞতা ধর্মান্ধদের অপপ্রচারে টিকানেয়া থেকে বিরত থাকেন। এতে করে এই এলাকায় অন্যান্য কমিউনিটির চেয়ে বিএএমই কমিউনিটির লোকেরা আক্রন্ত হন বেশী। এমনিতেই এই বারায় বাংলাদেশী ও এশিয়ান কমিউনিটির বসবাস তুলনা মূলকভাবে কম।
কাউন্সিলার আতিকুল হক শুরু করেন ক্যাম্পেইন। তার ক্যাম্পেইনে অনেকেই ভ্যাকসিন নিতে আগ্রহী হন। এছাড়া তিনি যেকোন বয়সী মানুষ যাতে ফোন করা মাত্র ভ্যাকসিন নিতে পারে এই সুযোগটি করে দেন। অন্যান্য এলাকায় বয়স অনুযায়ী টিকা নেবার বাধ্যবাধকতা থাকলেও উইলশায়ারে নেই।
এছাড়া আতিকুল হক প্রতিটি আক্রান্ত ব্যক্তির জন্য কাউন্সিল থেকে নগদ পাঁচ‘শ পাউন্ড অনুদান পাওয়ার ব্যবস্থা করেন। লিফলেট এবং ফোনে যোগাযোগের মাধ্যমে এবিষয়ে কমিউনিটিকে উৎসাহিত করেন। প্রথমেই ভ্যাকসিন নিতে নিয়ে যান তার বৃদ্ধ পিতা ৮৪বছর বয়স্ক লুমরানুল হক ও ৬৬ বছর বয়সী মাতা মনোয়ারা বেগমকে। তারা ভ্যাকসিন নিয়ে এসে সকলকে ভ্যাকসিন নিতে উৎসাহিত করেন। এর পর বাংলাদেশী কমিউনিটির একে একে সকলেই উৎসাহিত হন। আতিুল হক জানান তার প্রচেষ্টায় এই বারায় বিএএমই কমিউনিটির ৯৫% মানুষ ইতমধ্যেই ভ্যাক্সিসের আওতায় এসেছেন।
Designed by: Sylhet Host BD
Leave a Reply