বীরেন্দ্র কিশোর সরকার, বরগুনা : প্রতিপক্ষের হামলার শিকার বরগুনার বেতাগী উপজেলার সরিষামুড়ি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ইমাম হোসেন শিপন জোমাদ্দার সুস্থ হয়ে এলাকায় ফিরেছেন। মঙ্গলবার (২৩-২-২১) বেলা ১১টার দিকে তিনি হেলিকপ্টারযোগে সরিষামুড়ির মায়ারহাট এলাকায় অবতরণ করেন।
স্থানীয় সূত্র ও চেয়ারম্যান সমর্থকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ২০২০ সালের ২০ নভেম্বর দুপুরে বেতাগী উপজেলার সরিষামুড়ি ইউনিয়নের কালিকাবাড়ি গ্রামে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে থেকে ফিরছিলেন ইউপি চেয়ারম্যান ইমাম হোসেন শিপন। ফেরার পথে ওত পেতে থাকা দুর্বৃত্তরা তার মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে উপর্যুপরি কুপিয়ে তাকে গুরুতর জখম করে।
আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসেন। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রথমে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এবং পরে সেখান থেকে ওইদিন রাতেই জাতীয় অর্থোপেডিক ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে (পঙ্গু হাসপাতাল) পাঠানো হয়। সেখানে দীর্ঘ তিনমাস চিকিৎসা শেষে মঙ্গলবার সকালে তিনি ঢাকা থেকে এলাকায় ফেরেন।
হেলিকপ্টারযোগে চেয়ারম্যান এলাকায় অবতরণ করলে ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ সেখানে উপস্থিত হন। পরে মায়ারহাট এলাকায় এক সভায় অংশ নেন চেয়ারম্যান ইমাম হাসান শিপন।
সেখানে বক্তব্যে শিপন বলেন, সাবেক চেয়ারম্যান ইউসুফ শরীফ ও তার ছেলেদের ববর্রোচিত হামলার শিকার হওয়ার পর আপনারা যেভাবে আমার পাশে দাঁড়িয়েছেন, আমার জন্য দোয়া করেছেন, সেজন্য আমি আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। আমার ওপর হামলার পর যেভাবে আপনারা ছুটে এসেছেন, আমার পাশে ছিলেন আমি আপানাদের এ ঋণ কোনোদিন শোধ করতে পারব না। আপনাদের দোয়ায় আমি হয়তো বেঁচে আছি, আপনাদের সেবায় মৃত্যুর আগ পর্যন্ত পাশে থাকতে চাই।
তিনি পুলিশ প্রশাসন ও সাংবাদিকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে বলেন, ঘটনার পরপরই জেলা পুলিশ যে আইনগত পদক্ষেপ নিয়েছে আমি তাতে সন্তুষ্ট। সাংবাদিক ভাইয়েরা কুখ্যাত খুনি ইউসুফ শরীফ গংয়ের মুখোশ উন্মোচন করে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছেন। আমি সাংবাদিক ভাইদের প্রতি আজীবন কৃতজ্ঞ থাকবো।
সভায় বরগুনা সদরসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, জেলা যুবলীগের নেতৃবৃন্দ ও জেলা পরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
ইমাম হোসেন শিপনের ওপর হামলার ঘটনায় গত বছরের ২৪ নভেম্বর বেতাগী থানায় মামলা হয়। আহত চেয়ারম্যানের শ্বশুর রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় ওই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ইউসুফ শরিফকে প্রধান আসামি, তার তিন ছেলেসহ ১৪ জনের নামোল্লেখ এবং পাঁচ থেকে ছয়জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। এ ঘটনায় দুজনকে গ্রেফতার করা হলেও প্রধান আসামিরা এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে।
Designed by: Sylhet Host BD
Leave a Reply