এস এম খোকন॥ হবিগঞ্জ-২(বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ) আসনের সাংসদ আলহাজ্ব এডভোকেট আব্দুল মজিদ খান বলেছেন, ২০১৪ সালের ২৯ নভেম্বর হবিগঞ্জে জনসভায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের দাবী জানানো হয়েছিল।
সেই দাবির পেক্ষিতেই হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় আইন পাস হয়েছে মহান জাতীয় সংসদে। নাগুড়া কৃষিফার্ম এলাকায় “হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়” স্থাপন করা হউক এটা হবিগঞ্জ জেলাবাসীর দাবী।
এখানে প্রায় ১০০ একরের উপরে সরকারি খাস জমি ও হাজার হাজার একর কৃষি-অকৃষি জমি এবং প্রয়োজনীয় অবকাঠামোও বিদ্যমান। ইচ্ছে করলে এখনই শিক্ষা কার্যক্রম চালু করা সম্ভব।
একটি তৈরি জায়গা থাকতে নতুন করে আরেকটি জায়গা তৈরি করে সরকারের হাজার কোটি টাকা অপচয় করার কোনো যৌক্তিকতা নেই।
নাগুড়া ফার্ম হবিগঞ্জের ৯টি উপজেলার প্রাণ কেন্দ্র, যোগাযোগ ব্যবস্থা অত্যন্ত ভাল, যানজট ও কোলাহলমুক্ত মনোরম পরিবেশ হওয়ার কারণে জায়গাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য উপযুক্ত স্থান। তাছাড়া হবিগঞ্জ শহরের অতি সন্নিকটে।
এর চেয়ে উপযুক্ত জায়গা হবিগঞ্জ জেলায় আর কোথাও নেই। পরিবেশ বিশেষজ্ঞ ও হবিগঞ্জ জেলাবাসীর দাবী নাগুড়া ফার্ম এলাকায়ই “হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়” স্থাপন করা হউক। অত্র এলাকায় জমির দাম খুবই কম।
বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের জন্য জমির ক্রয়ের প্রয়োজন পড়লেও শহরের তুলনায় প্রায় ৩০ গুণ কম খরচে জমি ক্রয় করা সম্ভব।
এখানে প্রাথমিক গবেষণা চালানোর মতো যাবতীয় অবকাঠামো ও ব্যবস্থা রয়েছে।
যানজট কোলাহলমুক্ত পরিবেশের জন্য বাংলাদেশের প্রতিটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শহরের বাহিরেই স্থাপন করা হয়েছে।
উপমহাদেশের প্রথম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়টিও ১৯৬১ সালে শহর থেকে প্রায় ৪ কিলোমিটার দূরে স্থাপন করা হয়েছিল।
মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট আকুল আবেদন, উপরে যৌক্তিক দাবি গুলি বিবেচনা করে, “হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়” স্থাপনের বিষয়টি পুনঃবিবেচনা করে ২০১৪ সালের জনসভায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে উত্থাপিত এবং প্রস্তাবিত নাগুড়া কৃষি ফার্ম এলাকায় “হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়” স্থাপন করে হবিগঞ্জবাসীর স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করুন।
১৪ অক্টোবর বুধবার দুপুরে বানিয়াচং উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে আয়োজিত মাসিক আইন-শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
বানিয়াচং উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদ রানা’র সভাপতিত্বে আয়োজিত সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বানিয়াচং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আবুল কাশেম চৌধুরী, সহকারী কমিশনার ভূমি ইফফাত আরা জামান উর্মি, বানিয়াচং থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ এমরান হোসেন, ডিজিএম মামুন মোল্লা,ভাইস চেয়ারম্যান ফারুক আমিন, হাসিনা আক্তার, ইউএইচও ডাঃ আবুল হাদি মোঃ শাহ পরান, জেলা ইমাম সমিতির সভা পতি ক্বাজী মাওলানা আতাউর রহমান,
বানিয়াচং উপজেলা প্রেসক্লাব সভাপতি এস এম খোকন, ইউপি চেয়ারম্যান শামছুর রহমান, গিয়াস উদ্দিন, ওয়ারিশউদ্দিন খান, মাওলানা হাবিবুর রহমান, আনুয়ার হোসেন, আব্দুল আহাদ, জয়কুমার দাশ, লুৎফুর রহমান প্রমুখ। এতে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা শিক্ষা অফিসার শফিকুল ইসলাম সরকার, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মলয় কুমার দাশ, ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা সৈয়দ, বিভিন্ন অফিসের কর্মকর্তা, ইউপি চেয়ারম্যানসহ আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সদস্যবৃন্দ।
টমটম মিশুক এর তালিকা তৈরী করে লাইসেন্সের আওতায় আনা, নিয়মিত বাজার মনিটরিং,অপরাধ নির্মূলে মোবাইল কোট পরিচালনাসহ সভায় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন সিদ্ধান্ত নেয়া।
Designed by: Sylhet Host BD
Leave a Reply