হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে আদর্শ বাজার থেকে মানুষ খেকো পিরানহা মাছ জব্দ করা হয়েছে। দীর্ঘদিন যাবত এক শ্রেণীর অসাধু মাছ ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন হাটবাজারে রূপচাঁদা মাছ বলে পিরানহা মাছ বিক্রি করে আসছে।
উপজেলা সদরের বড়বাজার, গ্যানিংগঞ্জ বাজার, আদর্শ বাজার, ৫/৬ নং বাজারসহ গ্রামগঞ্জের প্রতিটি বাজারেই প্রকাশ্যে চলছে বিক্রয় সাংবাদিকদের পক্ষথেকে ২৮ আগস্ট মৎস্য সপ্তাহের মতবিনিময় সভায় বানিয়াচং উপজেলা প্রেসক্লাব সভাপতি এস এম খোকন’র অভিযোগের ভিত্তিতে তাৎক্ষনিক অভিযানে নামেন উপজেলা মৎস্য অফিসের কর্মকর্তারা।
উপজেলা সদরের স্থানীয় আদর্শ বাজারে বিক্রিরত অবস্থায় মিনাট গ্রামের মৎস্যজীবি শায়েল মিয়া (৪৩) এর নিকট থেকে বেশ কিছু মাছ জব্দ করেন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ নুরুল ইসলাম।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ নুরুল ইসলাম জানান, পিরানহা মাছের প্রজনন, চাষ, ক্রয়- বিক্রয় মৎস্য সংরক্ষণ আইনে দন্ডনীয় অপরাধ। তাই মাছ গুলো জব্দ করা হলো। ভবিষ্যতে কোন মৎস্যজীবিকে এধরণের কার্যক্রমে জড়িত পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
মানুষ খেকো পিরানহা মাছ একে অনেকেই রুপচাদা বলে ভুল করে থাকেন।
বাংলাদেশে প্রথম এই পিরানহা কে বাহারী মাছ হিসেবে এক্যুরিয়ামে রাখার জন্য এবং অধিক উৎপাদনশীল মাছ হিসেবে চাষের জন্য চীন এবং থাইল্যান্ড থেকে আনা হলেও আজ তা উম্মুক্ত জলাশয়ে ছড়িয়ে পড়েছে। পিরানহা ‘Characidae ‘ পরিবার ভূক্ত একটি রাক্ষুসে মাছ। পিরানহা মাছের রয়েছে রেজরের মত ধারালো দাত এবং শক্ত নি¤œ চোয়াল। এজন্যই এরা দ্রুত কামড়িয়ে খেতে পারে।
পিরানহার চোখ দুটো বেশ বড় যা’ দ্রুত শিকার ধরার সহায়ক। এরা যেকোন প্রাণীর হাড় থেকে মাংস আলাদা করে ফেলা তাদের জন্য মাত্র কয়েক মিনিটের ব্যাপার। এরা দলবদ্ধ হয়ে চলে। এজন্য এরা এক জন মানুষকে ২/৩ মিনিটের মধ্যে খেয়ে ফেলতে পারে। একটি পিরানহা সর্বোচ্চ ৩০- ৪০ সে.মি. বা এর চেয়েও বড় হতে পারে।এরা ৫ বছর বা এর চেয়েও বেশি দিন বেচে থাকে।
পিরানহা একটি ভয়ানক রাক্ষুসে জলজ প্রাণী। পিরানহা মাছ আমাদের দেশীয় মাছ ও অন্যান্য জলজ জীবক‚লের জন্য বিপদজনক। কারণ এটি জলজ পরিবেশের সবকিছু খেয়ে উজাড় করে ফেলতে সক্ষম। তাই পিরানহা মাছের প্রজনন, চাষ, ক্রয়- বিক্রয় মৎস্য সংরক্ষণ আইনে দন্ডনীয় অপরাধ।
Designed by: Sylhet Host BD
Leave a Reply