বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০তম বার্ষিকী এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই কমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম যুক্তরাজ্য ও আয়ারল্যান্ডে বসবাসকারী বাংলাদেশিদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে বিশেষ বার্তা দিয়েছেন:
“বাংলাদেশের গৌরবোজ্জ্বল স্বাধীনতার ৫০তম বার্ষিকী এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে আমি বাংলাদেশ হাই কমিশন, লন্ডনের পক্ষ থেকে যুক্তরাজ্য ও আয়ারল্যান্ডে বসবাসকারী বাংলাদেশি ভাই ও বোনদের উষ্ণ ও আন্তরিক অভিনন্দন জানাই।
আজ থেকে ৫০ বছর আগে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন। এই ঐতিহাসিক দিনে আমি তাঁর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই। তাঁর অসাধারণ নেতৃত্ব ছাড়া বাংলাদেশ একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে পারত না।
আমি গভীর শ্রদ্ধা জানাই আমাদের একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের বীর মুক্তিযোদ্ধা, ৩০ লাখ শহীদ বাঙালি, দুই লাখ বীর নারী ও শহীদ বুদ্ধিজীবীদের। তাঁদের সর্বোচ্চ ত্যাগের মাধ্যমে আমরা স্বাধীন জাতিতে পরিণত হয়েছি, পেয়েছি স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ এবং লাল-সবুজের গর্বিত পতাকা। গভীর শ্রদ্ধা জানাই মুজিব নগরে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার গঠনকারী শহীদ জাতীয় চার নেতাকে।
আজ এই বিশেষ দিবস উপলক্ষে আমি আমার ব্রিটিশ-বাংলাদেশি ভাই-বোনদের বিশেষ কৃতজ্ঞতা জানাই। তাঁরা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় অসাধারণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর মুক্তি, বাংলাদেশের স্বীকৃতি এবং গণহত্যা বন্ধের দাবিতে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে জনমত গড়ে তোলার জন্য ট্রাফেলগার স্কয়ার, ওয়েস্টমিনস্টার প্যালেস এবং হাইড পার্কে বিশাল সমাবেশ করেছিলেন। তাঁদের অতুলনীয় ত্যাগ চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।
আমি সকল বাংলাদেশি কূটনীতিক ও ব্রিটিশ-বাংলাদেশিদের গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করি, যারা একাত্তরের যুদ্ধের সময় স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা প্রথম লন্ডনের ২৪ পেমব্রিজ গার্ডেনে বাংলাদেশের কূটনৈতিক মিশন উত্তোলন করেছিলেন। বিশেষ কৃতজ্ঞতা জানাই সকল বিদেশী সরকারকে, বিশেষত: ভারত এবং রাশিয়ান ফেডারেশনকে, যারা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় আমাদের পাশে ছিলেন এবং আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে তাদের জনগণও রক্ত দিয়েছিলেন।
২০২১ সালে আমরা বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের কূটনৈতিক সম্পর্কেরও ৫০ বছর উদযাপন করছি। আমি দৃঢ়ভাবে আশা করি, বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে বিরাজমান গভীর সৌহার্দ ও বন্ধুত্বের বিশেষ বন্ধন আগামি ৫০ বছরে উভয় দেশের আরো সমৃদ্ধি ও উন্নতির লক্ষে নতুন উচ্চতায় উন্নীত হবে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর এই মাহেন্দ্রক্ষণে গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জানাই বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর অসাধারণ নেতৃত্বে বাংলাদেশে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা, বাঙালি জাতীয়াতাবাদ এবং সামাজিক ন্যায়বিচার সুপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে। অভূতপূর্ব প্রবৃদ্ধি ও সমৃদ্ধি অর্জন অব্যাহত রেখে বাংলাদেশকে বঙ্গবন্ধুর ‘সোনার বাংলা’ হিসেবে গড়ে তোলার অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় অনন্য সফল নেতৃত্বের জন্য আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে বিশেষ অভিবাদন জানাই।
আমাদের স্বাধিনতার ৫০ বছর পূর্তি ও জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশের সরকার ও জনগণ এবং ব্রিটিশ-বাংলাদেশিদের বিশেষ শুভেচ্ছা বার্তার মাধ্যমে অভিনন্দন জানানোর জন্য আমি রয়্যাল হাইনেস প্রিন্স অব ওয়েলস এবং যুক্তরাজ্যের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। যে সকল সরকার ও রাষ্ট্র প্রধান বাংলাদেশের সরকার ও মানুষের সাথে সংহতি প্রকাশ করে ঢাকায় আমাদের মহান স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী ও জাতির পিতার জন্মশত বার্ষিকী উদযাপনে শামিল হয়েছেন আমি তাঁদের সবাইকে জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ ।
বাংলাদেশ দীর্ঘজীবী হউক। দীর্ঘজীবী হউক বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্যের বন্ধুত্ব ও সৌহার্দ ।”
মান্যবর হাই কমিশনারের পক্ষে,
আশিকুন নবী চেীধুরী
মিনিস্টার (প্রেস)
Designed by: Sylhet Host BD
Leave a Reply