সুলতানুল আরিফিন কাজল,নাটোর :গত ২৪ ঘন্টায় নাটোরে নতুন করে আরো ৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্ত এই ৬ জনের মধ্যে ১ জন স্বাস্থ্য কর্মীসহ ২জন বড়াইগ্রামের, ৩ জন গুরুদাসপুরে এবং ১ জন নাটোর সদরের চানপুর এলাকার।
বুধবার (১৭ জুন) সন্ধ্যায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজের (রামেক) করোনা ল্যাব থেকে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
এদিকে ঢাকায় অবস্থানরত নাটোর সদর হাসপাতালের ডাক্তার (অর্থপেডিক) তৈমুর রহমান করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।
এছাড়া গত মধ্যরাতে (মঙ্গলবার) রামেক ল্যাব থেকে পাঠানো তথ্যে পৌরসভা পরিচালিত শহরের বড়গাছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে এক শিক্ষিকা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। নতুন করে এই ৮ জন করোনা আক্রান্ত হওয়ায় জেলায় এখন মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৯৬ জন। তবে এর মধ্যে ৫১ জন সুস্থ হয়েছেন। একজন মারা গেছেন।
বুধবার সন্ধ্যায় পাঠনো তথ্যে রামেক ভাইরোলজি বিভাগের প্রধান ও ল্যাব ইনচার্জ প্রফেসর ডা. সাবেরা গুলনাহার জানান, (রামেক) ল্যাবে একদিনে ৪৩ জনের নমুনায় করোনাভাইরাস ধরা পড়েছে। এর মধ্যে নাটোরের ৬ জন, পাবনার ৩৫ জন ও রাজশাহীর ২ জন। ল্যাবে দুই শিফটে ১৮৮ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে ফলাফল পাওয়া গেছে ১৮৩ জনের নমুনার।
পৌরমেয়র উমা চৌধুরী জলি বড়গাছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, যেহেতু করোনাকালীন সময়ে স্কুল বন্ধ থাকলেও অফিসের কার্যক্রম চালু ছিল। একজন শিক্ষিকা আক্রান্ত হওয়ায় প্রেক্ষিতে গোটা স্কুল লকডাউন করা হয়েছে।
নাটোর সিভিল সার্জন ডাঃ মিজানুর রহমান জেলায় মোট ৯৬ জন আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এপর্যন্ত ৫১ জন সুস্থ হয়েছেন। ১ জন রেজাল্ট আসার আগেই মৃত্যু বরন করেছেন। আক্রান্তদের মধ্যে ৩৮ জন হোম আইসোলেশনের রয়েছেন। তারা সকলেই সুস্থ্য রয়েছেন। নতুন করে আক্রান্তদের বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে।
এছাড়া পরিবারের সদস্যদের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। আক্রান্তদের পরিবারের সদস্যদের নমুনা সংগ্রহ করা হবে। তিনি হাসপাতালের অর্থপেডিক ডাক্তার তৈমুর রহমান করোনায় সংক্রমিত হওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, তিনি ঢাকায় অবস্থান করছেন এবং সেখানেই তার বাসভবন লকডাউন করা হয়েছে। এছাড়া বড়গাছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় সহ আক্রান্ত শিক্ষিকার বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। শিক্ষিকাকে হোম আইসোলেশনে থাকতে বলা হয়েছে।
Leave a Reply