হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব অ্যাডভোকেট মোঃ আবুজাহির এমপি বলেছেন, গাধা গোলা করে পানি খায়। এমনি একটি দল হচ্ছে বিএনপি। বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বললেন, শেখ হাসিনার অধীনে কোন নির্বাচন নয়। পরে ঠিকই আমাদের নেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনেই নির্বাচনে আসলেন।
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কোন ষড়যন্ত্র বা ক্যুর মাধ্যমে ক্ষমতায় আসেনি। আওয়ামীলীগ হচ্ছে গণতান্ত্রিক একটি প্রাচীন রাজনৈতিক দল এবং বটবৃক্ষ। মনে রাখতে হবে এ দলের নেতৃত্বেই বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছে। কাজেই কোন মন্দির বা পূজাম-পে পবিত্র কোরআন শরীফ রেখে হিন্দু মুসলমানদের মধ্যে দাঙ্গা সৃষ্টি করে গোলাপানিতে মাছ শিকার করতে দেওয়া হবে না।
ষড়যন্ত্রকরী যারাই হউক সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিচার করা হবে। গতকাল রবিবার বিকাল ৩টায় উপজেলা পরিষদ মাঠে আওয়ামীলীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আমির হোসেন মাস্টারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইকবাল হোসেন খান এর সঞ্চালণায় ‘আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে বিশেষ বর্ধিত সভায়’ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ বৃহৎ রাজনৈতিক সংগঠন। এ ক্ষেত্রে নেতাকর্মী বেশি বিধায় আগ্রহী প্রার্থীও বেশি। তবে সবাই দলীয় মনোনয়ন পাবেন না। এর মধ্যে সর্বাধিক গ্রহণযোগ্য ও ভালো প্রার্থীকে নৌকা প্রতীক দেওয়া হবে। যিনি নৌকা প্রতীক পাবেন তাকেই বিজয়ী করতে হবে। তবে প্রার্থী নির্বাচনের ক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য ও দলের জন্য নিবেদিত প্রার্থীকে তালিকায় দিতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে হবিগঞ্জ-২ আসনের এমপি আলহাজ্ব অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ খান বলেছেন, হবিগঞ্জ হচ্ছে ২য় গোপালগঞ্জ। এ হিসেবে আসছে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে মাননীয় নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যাকেই নৌকা প্রতীক দিবেন সকল ভেদাভেদ ভুলে তাকে নির্বাচিত করতে হবে। আর বিশেষ করে দলকে শক্তিশালী করতে হবে। দল সংগঠিত হলে যে কোন ষড়যন্ত্র হউক তা ভেস্তে যাবে।
প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোঃ আলমগীর চৌধুরী।
এসময় অন্যান্য অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি শেখ শামছুল হক, সজিব আলী ও ডা. মনোরঞ্জন দাশ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শেখ লুৎফুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মশিউর রহমান শামীম, অ্যাডভোকেট সুলতান আহমদ, আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট ময়েজ উদ্দিন শরীফ রুয়েল,
কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব রেজাউল মোহিত খান, জেলা সদস্য ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ আবুল কাশেম চৌধুরী, জেলা কমিটির সদস্য তজুমুল হক চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া লিলু, আব্দুল আহাদ,মোঃ শাহজাহান মিয়াসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন-ওয়ার্ড থেকে আগত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকবৃন্দ।
দুপুর থেকেই বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে দলীয় প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে মুখুর্মুহু স্লোগান দিয়ে সম্মেলনস্থলে আসতে থাকেন নেতাকর্মীরা। উপজেলা পরিষদ মাঠটি কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। বর্ধিত সভাটি চলে রাত ১১টা পর্যন্ত।
গণমাধ্যমকর্মীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রেসক্লাব সভাপতি এস এম খোকন, বানিয়াচং মডেল প্রেসক্লাব সিনিয়র সহসভাপতি জীবন আহমেদ লিটন, সাধারণ সম্পাদক শিব্বির আহমদ আরজু , সাংবাদিক আবদাল মিয়া প্রমুখ।
Designed by: Sylhet Host BD
Leave a Reply